গত ১৭ই অক্টোবর দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী তথা শিক্ষামন্ত্রী মনিশ সিসোদিয়া নতুন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রস্তাবিত জায়গাটি পরিদর্শনে যান এবং অনুমান করা যাচ্ছে সমস্ত দিক বিচার বিবেচনা করে সরকার খুব শীঘ্রই নতুন এই বিশ্ব বিদ্যালয়টির ভবন নির্মাণের কাজে হাত দেবেন। দিল্লি সরকারের পরিকল্পনা অনুসারে, নতুন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে একদিকে যেমন সমস্ত ধরণের খেলাধূলাকে জায়গা দেওয়া হবে অন্যদিকে এখন থেকে যেকোন খেলাধুলার উপর দিল্লি তথা দেশ বিদেশের সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীকে খেলা-ধুলার উপর ডিগ্রীও প্রদান করা হবে। খেলাধুলার উপর অর্জন করা এই ডিগ্রী বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন দ্বারা স্বীকৃতি জানানো হয়েছে এবং চাকরির ক্ষেত্রে অন্যান্য বিষয়ের মতো সমান অগ্রাধিকার পাবে। দিল্লি সরকারের মতে, দিল্লি তথা ভারতের বুকে প্রথমবার প্রতিষ্ঠিত হতে চলা নতুন এই ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয়টি দিল্লির কলা কেন্দ্র হিসেবে গোটা বিশ্বে জায়গা করে নেবে এবং খুব কম সময়ের মধ্যেই দিল্লিকে বিশ্বজুড়ে অলিম্পিকসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় সম্মানিত করবে।
দিল্লি সরকারের কথা মতো, নতুন এই ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্বমানের প্রশিক্ষনের ব্যবস্থার পাশাপাশি গবেষণা ও অধ্যায়নের কাজও সমান তালে গুরুত্ব পাবে। জনস্বাস্থ্য ও ব্যায়ামে ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয় দেশবাসীকে দিশা দেখাবে বলে সরকার মনে করেন। নতুন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্য দিয়ে একদিকে যেমন কয়েক হাজার নতুন পদ তৈরি করা হবে অন্যদিকে বিভিন্ন খেলাধুলায় পারদর্শী শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতিদের এই পদেগুলিতে নিয়োগ করা হবে। প্রসঙ্গত বলে রাখা ভালো যে, কেন্দ্র সরকারের নতুন শিক্ষানীতিতে খেলাধুলার মতো বিষয়কে একদমই গুরুত্ব দেওয়া হয়নি যা নিয়ে দিল্লির আম আদমী পার্টির সরকার কেন্দ্র সরকারের সমালোচনায় মুখর হন। যাইহোক, আবারও আম আদমী পার্টির সরকারের হাত ধরে ভারতের ইতিহাসে শিক্ষা ব্যবস্থায় নতুন ধরণের পদক্ষেপে দিল্লি তথা সমগ্র দেশবাসি খুবই উচ্ছ্বসিত।
