দিল্লির হোম আইসোলেশন পদ্ধতি করোনাকে পরাস্ত করতে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, হোম আইসোলেশন অর্থাৎ রোগীকে নিজের হাল -এ ছেড়ে দেওয়া নয়, পর্যাপ্ত সরকারি সহযোগিতার দ্বারা রোগীর বাড়িতেই প্রতিনিয়ত খেয়াল রেখে রোগীকে সুস্থ করে তোলা, এবং তা সফল করতে সব থেকে বেশি প্রয়োজন হল পালস অক্সিমিটার। যা দিল্লিতে কেজরিওয়াল সরকার হোম আইসোলেশনে থাকা সমস্ত রোগীর কাছে পৌঁছে দিয়ে করোনাকে নিয়ন্ত্রণ করতে সফল হয়েছে।
১৫ই আগস্ট স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সমগ্র দেশের সকল ‘আপ’ সমর্থক ও কর্মীদের উদ্দেশ্যে
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী মাননীয় অরবিন্দ কেজরিওয়াল লাইভ সম্বোধনে জানালেন, এই বছর রবিবার ১৬ই আগস্ট তিনি নিজের জন্মদিন পালন করবেন না।
কেজরিওয়াল সমগ্র দেশের আম আদমী পার্টির কর্মী/সমর্থকদের আবেদন করলেন:
“দয়া করে এই বছর অভিনন্দন জানাতে বাড়ি আসবেন না। ফোন ও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেই অভিনন্দন জানাবেন, কিন্তু যদি আমাকে উপহার দেওয়ারই হয়, তবে আম আদমী পার্টিকে পালস অক্সিমিটার দান করুন যা দিয়ে আমরা দেশের প্রত্যেকটি গ্রামে একটি করে পালস অক্সিমিটার পৌঁছে দিয়ে করোনার হাত থেকে মানুষের প্রাণ রক্ষা করতে পারি।”
সকল রাজ্য এবং জেলার দায়িত্ব প্রাপ্তদের কাছে অনুরোধ করলেন এই ব্যবস্থাকে চালু করতে এবং প্রত্যেক গ্রামে অক্সিজেন পরীক্ষা কেন্দ্র গড়ে তুলতে যেখানে সাধারণ মানুষ অক্সিজেনের মাত্রা পরীক্ষা করতে পারবেন এবং প্রয়োজনে ‘আপ’ এর ‘অক্সি মিত্র’রা হাসপাতালে বেড বা অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে দিতে পারবে।
তিনি জানান,
“আমাদের লক্ষ্য কোনো সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের ঘাটতি খোঁজা নয় বরং করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সেই সরকারের কাজে সাহায্য প্রদান করা।”
করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের শুরু থেকেই উনি বলে এসেছেন, “এই লড়াইয়ে কোনো একজনের চেষ্টায় জয়লাভ করা সম্ভব নয়। দল, মত, জাত, ধর্ম নির্বিশেষে সকলকে একসাথে এসে লড়তে হবে। রাজনৈতিক মতভেদ ভুলে করোনা কে পরাস্ত করতে হবে।” আর তিনি সেই পথ অবলম্বন করে, বিশেষজ্ঞদের অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। সাথে সাথে অন্য রাজ্যগুলিতেও যাতে করোনায় প্রাণহানির সংখ্যা কমানো যায় তার প্ৰচেষ্টা স্বরূপ এই আবেদন রেখেছেন।
তাঁর এই আবেদনের পরের দিনই অর্থাৎ ১৬ই আগস্ট তাঁর জন্মদিনের দিন সমগ্র দেশের আম আদমী পার্টির কর্মী ও সমর্থকেরা ৩০,০০০ পালস অক্সিমিটার দান করলেন যা দিয়ে দেশের ত্রিশ হাজার গ্রামে ‘আপ’ এর ‘অক্সি মিত্র’রা অক্সিজেন পরীক্ষা কেন্দ্র শুরু করতে পারবে।
